শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

যমুনার বেড়িবাঁধ ভাঙনে নকশায় কোনো ত্রুটি নেই : পানিসম্পদ সচিব 

চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি 

যমুনার বেড়িবাঁধ ভাঙনে নকশায় কোনো ত্রুটি নেই : পানিসম্পদ সচিব 

সিরাজগঞ্জের চৌহালীর যমুনা নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফ মল্লিক। যমুনার ভাঙন রোধে বন্যার আগেই বেড়িবাঁধের কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব।

শনিবার (৮ জুলাই) সকালে সিরাজগঞ্জে চৌহালী উপজেলার চরসলিমাদের ভুতের মোড়, সম্ভুদিয়া ও টাঙ্গাইলের নাগরপুরের অংশে যমুনা নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শনের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

সচিব বলেন, যমুনা নদীর ভাঙন রোধে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এজন্য সমীক্ষা চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে তিন দশমিক পাঁচ কিলোমিটার একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। চলতি বন্যার মধ্যেই কাজ চলমান থাকবে। পানি কমে গেলে স্থায়ী কাজ শুরু করা হবে। ফলে পরবর্তী বন্যায় নদীভাঙন থাকবে না।

তিনি বলেন, নদীভাঙন রোধে পাড় থেকে দেড় থেকে ২০০ ফুট দূরে বাঁধ দেয়া হবে। ফলে স্রোতের ধাক্কা সরাসরি পাড়ে লাগবে না। এতে তেমন ভাঙনও হবে না। পলিমাটি পড়ে এই জায়গায় আস্তে আস্তে চর পড়ে যাবে। বিভিন্ন এলাকায় এভাবে কাজ করা হয়েছে। সেখানে ভাঙনে হারিয়ে যাওয়া জমিতে চাষাবাদসহ বসতবাড়ি করতে পারে। এছাড়াও নদীশাসনের মাধ্যমে গতিপথ সোজা রাখা হবে।

সচিব আরও বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। যুগের পর যুগ নদী ভাঙে, নদী গড়ে। নদীর বিভিন্ন স্থানে চরও জেগে উঠেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিকভাবে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমরা দায়ী নই। যারা সমৃদ্ধশালী দেশ, তারাই জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী। তাদের কারণে আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। এতে ভুক্তভোগী হচ্ছি আমরা।

পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, চৌহালী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোবারক হোসেন, নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ওহিদুজ্জামান, থানার ওসি হারুন রশীদ, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম মোল্লা, সলিমাদ ইউপি সাহিদুল ইসলাম অপু ও পাউবোর এসও মিল্টন প্রমুখ।

টিএইচ